Darren Sidwell : লাল-হলুদের মাঝমাঠে কমলা ঝড় তুলতে আসছেন ড্যারেন সিডোয়েল
এসসি ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠে এবার কমলা ঝড়। আইএসএলে খেলার জন্য লাল-হলুদে যোগ দিলেন নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ড্যারেন সিডোয়েল। এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে শুক্রবারই পঞ্চম বিদেশির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ বছরের সিডোয়েল এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন হেড কোচ ম্যানুয়েল মানোলো দিয়াজের কোচিংয়ে হারকিউলিস সিএফে আগেও খেলেছেন। আয়াক্সের মতো নামি ক্লাবে ইউথ কেরিয়ার কাটিয়েছেন সিডোয়েল।প্রথম বিদেশি হিসেবে স্লোভেনিয়ার মিডফিল্ডার আমির দেরভিসেভিচের সঙ্গে আগেই চুক্তি করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। এরপর একেএকে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার টমিস্লাভ মর্সেলা, ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার ফ্রানজো প্রিস ও নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমার নাম ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার ঘোষণা করা হল সিডোয়েলের সই করার কথা। স্পেনের দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব কর্ডোবা সিএফ থেকে তিনি লাল হলুদে আসছেন। মূলত ম্যানুয়েল মানোলো দিয়াজের পরামর্শেই সিডোয়েলকে দলে নিয়েছেন লাল হলুদ কর্তারা। কর্ডোবা সিএফ থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি লোনে যোগ দেন দিয়াজের প্রশিক্ষণাধীন হারকিউলিসে। ২০১২ সালে আয়াক্সে যোগ দেওয়ার আগে এডিও ডেন হ্যাগে ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সিডোয়েল।সিডোয়েল সেন্টার-ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলতে পছন্দ করেন। বল ধরে দ্রুতগতিতে আক্রমণে চলে যেতে পারেন সিডোয়েল।লাল-হলুদে সই করার পর সিডোয়েল বলেছেন, এসসি ইস্টবেঙ্গল আমার কাছে নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে আইএসএলে খেলে আমি অনেক কিছু শিখতে পারব। নিজেকে আরও উন্নত করতে পারব।মানোলোর প্রশিক্ষণে আগেও খেলেছি। তাই এখানে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না। আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে। আবার তাঁর কোচিংয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছি ভেবে ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন, আয়াক্স ইউথ সিস্টেমের বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। আমি সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি। সেই অভিজ্ঞতা আমি এসসি ইস্টবেঙ্গলের সতীর্থদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। আমি জানি এটি এশিয়ার অন্যতম বড় ক্লাব এবং সমর্থকদের কতটা আবেগ রয়েছে। তাঁরা গ্যালারিতে হাজির থাকতে না পারলেও আমরা সকলে মিলে ভালো ফুটবল উপহার দিতে চাই। হেড কোচ ম্যানুয়েল মানোলো দিয়াজও খুশি সিডোয়েলকে পেয়ে। তিনি বলেছেন, সিডোয়েলের বয়স কম এবং খুব পরিশ্রমী। গোটা মাঠ জুড়ে খেলতে পারে, তাই তাঁকে ইউটিলিটি ফুটবলার বলা চলে। সিডোয়েল মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত।